সংবাদ মাধ্যম বিজ্ঞপ্তি
কলকাতা এবং নার্ম / মেলবোর্নের ট্রামযাত্রা মৈত্রী চার দিনের একটা উৎসবের আয়োজন করেছে। ট্রামযাত্রা মৈত্রী পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও তার প্রতিবেশী মহানগরীর মধ্যেকার নিবিড় সম্পর্ককে উদযাপন করতে চাইছে। আসুন , আমরা সবাই এই সম্পর্কের উদযাপনে অংশ নিয়ে নিজেদের আবার নতুন করে চেনার চেষ্টা করি।
উৎসবের ট্রাম : একটি সুসজ্জিত ট্রাম সুন্দর বনের প্রাণশক্তিকে কলকাতায় নিয়ে আসছে। প্রত্যেকদিন মেলবোর্ন কনডাক্টর রবের্তো আন্দ্রেয়া ও ‘কনি’ দের একটি দল প্রতীকী টিকিটের মাধ্যমে যাত্রীদের শুভেচ্ছা জানাবেন এবং আড্ডা দেবেন। এই ট্রামটিকে বিশেষভাবে সাজিয়েছেন শিল্পী সুমন্ত্র মুখার্জি ও পটুয়া শিল্পী স্বর্ণ চিত্রকর। এই ট্রামটিতে একদম বিনামূল্যে ভ্রমণ করা যাবে।
উৎসব প্রাঙ্গন : এসপ্ল্যানেড ট্রাম টার্মিনাসে বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে যার কোনও টিকিট মূল্য থাকছে না।
এখানে থাকছে দলগত কর্মশালা, চিত্র নির্দেশক অশোক বিশ্বনাথনের পরিচালনায় কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সাথে আলোচনা, সাউন্ড আর্টিস্ট প্রত্যয় রাহার সুন্দরবনের ধ্বনি সম্বন্ধীয় পরিবেশন, জীবন চর্যার লোককথা নিয়ে স্বর্ণচিত্র করের পটচিত্র গান, সুন্দরবনের লোক গায়ক দের নাটক ও গানের পরিবেশনা, রাজেশ শিন্ডে পরিচালিত একটি সংগীত মুখর নাটক, কলকাতার সংগীত শিল্পীদের ট্রামের গান এবং শিল্পী সুমন্ত্র মুখার্জির আর্ট ইন্সটলেশন।
নাগরিক সভা: সুন্দরবন এবং কলকাতার জলবায়ু সংকটের তীব্রতাকে মাথায় রেখে সোমবার ৩১ মার্চ বিকেল ৪:৩০ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত আই সি সি আর রবীন্দ্রনাথ টেগোর সেন্টার সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে একটি নাগরিক সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন পরিবেশ বিষয়ক আইনজীবী ও বিশিষ্ট সাংবাদিক জয়ন্ত বসু।
ওয়েবসাইট: এখানে বিভিন্ন জরুরী তথ্য থাকছে। প্রতিদিন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী যাত্রীদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হবে যাতে কলকাতা ভারত অস্ট্রেলিয়া এবং সারা পৃথিবী জুড়ে এই বিষয়ে উৎসাহী মানুষদের কাছে সহজে পৌঁছনো যায়।
*** শুক্রবার ২৮ মার্চ সকাল ৯:৩০এ এসপ্ল্যানেড ট্রাম টার্মিনাস এ আমন্ত্রিত অতিথি ও সংবাদ মাধ্যমের সামনে সুন্দরবন ট্রামযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন। এখানে উৎসবের আয়োজকরা বিশেষভাবে সুসজ্জিত ওই ট্রাম, বিনামূল্যের শিক্ষামূলক রঙিন টিকিট, উৎসব প্রাঙ্গণের আর্ট ইন্সটলেশন ইত্যাদি সবকিছুই ঘুরে ঘুরে দেখাবেন।
জলবায়ু সংকটের তীব্রতার নিরিখে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক কলকাতা ও সুন্দরবন এই দুটি জায়গাকেই বিশেষ সংকটাপন্ন এলাকা বলে চিহ্নিত করেছে। সুন্দরবন ও কলকাতার মধ্যে জৈব আঞ্চলিক সম্পর্ক বিষয়ে আরও বেশি করে জানার জন্য আমরা সংবাদমাধ্যম কে আহ্বান করছি। আমরা আশা করছি তাঁরা বিভিন্ন খবরাখবরের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবেন। বিশ্বব্যাপি এই জলবায়ু সংকটকে কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তারও ধারনা দেবেন।
এই উৎসবের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর এবং বিখ্যাত চিত্রনির্মাতা মহাদেব শী বলেছেন, ‘তিরিশ বছর ধরে ট্রামযাত্রা মৈত্রী ট্রাম কেন্দ্রিক অনেক ধরণের সাংস্কৃতিক কাজ করে চলেছে। প্রকৃতিকে তার নিজের মতো করে রক্ষা করার জন্য আমরা ক্রমাগত প্রচার করে গেছি। সুন্দবনের বিভিন্ন জায়গার মানুষকে সেই অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা করার জন্য সাহায্য করাটাই আমাদের লক্ষ্য। এই উৎসবে সুন্দরবন এবং কলকাতার জলবায়ু সংকট নিয়ে কথা বলার একটা পরিসর তৈরি করা হয়েছে। কিভাবে এই সংকটকে প্রতিহত করা যায় তা নিয়ে প্রতিনিয়ত আমরা ভাবছি। ট্রামের মত এত দূষণহীন যানকে নিয়ে বারবার কথা বলতে চাইছি। আমরা বলতে চাইছি, কলকাতায় ট্রামগাড়ির শুধুই হেরিটেজ হিসেবে থেকে যাওয়াটাই কি যথেষ্ট? নাকি ভীষণ সংকটের সময় ট্রামকে আরো বেশি ব্যবহার করা যায়?
অত্যন্ত সুপরিচিত অস্ট্রেলিয়ান কনডাক্টর ও একই সাথে এই উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা রবের্তো ডি আন্দ্রেয়া মনে করেন, “ সুন্দরবন ট্রামযাত্রা নানারকম রঙিন ট্রাম, জীব বৈচিত্র উদযাপন করে বানানো তথ্যমূলক টিকিট এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগকে প্রাধান্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত, পশ্চিমবঙ্গ ও ভিক্টরিয়া, কলকাতা ও মেলবোর্ন এর মধ্যে বন্ধুত্বের পরিসর বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে।” রবের্তো ডি আন্দ্রেয়া ১৯৯৫ সাল থেকে তাঁর পরিবেশ ভাবনাকে সাথে নিয়ে কলকাতায় ট্রাম নিয়ে এই অভিনব কাজটি করে চলেছেন। মেলবোর্নে আর এম আই টি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এবং ট্রাম উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা মিক ডগলাসের কথায়, “ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অন্যায় ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে । যে সব মানুষের জলবায়ুর পরিবর্তনে কোন ভূমিকাই ছিল না, তারাই সবথেকে বেশি ঝুঁকি ও ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। সুন্দরবন ও কলকাতার কথা জানতে পেরে, এই সংকটের কথা আমরা বিশ্ববাসী কে জানাতে চাইছি এবং সমাজকে পরিবেশ সম্পর্কিত সচেতনতাগুলিকে মেনে চলার জন্য বারবার করে বলতে চাইছি। বিজ্ঞান চাইলেও হয়তো সব সময় পারেনা কিন্তু শিল্পসংস্কৃতি চাইলে হৃদয় এবং মননের অবশ্যই পরিবর্তন ঘটাতে পারে। ”
সুন্দরবন ট্রামযাত্রা প্রজেক্টে অস্ট্রেলিয়ার সরকার সহায়তা করেছে সেন্টার ফর অস্ট্রেলিয়া ইন্ডিয়া রিলেশনস এবং আর এম আই টি ইউনিভার্সিটি পরিচালিত মৈত্রী কালচারাল গ্রান্ট এর মাধ্যমে। আমাদের আঞ্চলিক ভাবে সহায়তা করেছে বি আই টি এস ডিজাইন মুম্বাই, প্রেমায়া ফাউন্ডেশন, দ্য কনিজ, ক্রন্দসী প্রোডাকশনস, অ্যাবভ এন্ড বিয়ন্ড এবং থটশপ ফাউন্ডেশন।
আরও তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে প্রজেক্ট ওয়েবসাইট দেখুন।
ডাবলু ডাবলু ডট সুন্দরবনট্রামযাত্রা ডট নেট
প্রকাশনার জন্য এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও ছবি পাওয়া যাবে
ডাবলু ডাবলু ডট সুন্দরবনট্রামযাত্রা ডট নেট/ ইউ আর এল
টি বি সি
ডাবলু
আর ও বি
মিডিয়া কো অর্ডিনেটর: অনুরাগ মিত্র সুন্দরবনট্রামযাত্রা২০২৫এটজিমেইলডট কম ৯১৬৩৫৯১১২৪
সৌরশংকর মাঝি ৯৮৩০৬৮২৬৮১